এসবিএন ডেস্ক: রাজধানীর বনশ্রীতে ভাইবোনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মা-বাবা ও খালাকে জামালপুর থেকে ঢাকায় নিচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব।
নাম প্রকাশ না করে ২ শিশুর এক স্বজন সুত্র মারফত বলেন, র্যাব-৩-এর একটি দল আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাবা আমান উল্লাহ, মা মাহফুজা মালেক ও খালা আফরোজা মালেককে জামালপুর সদরের ইকবালপুর থেকে নিয়ে যায়। ইকবালপুর মাহফুজা মালেকের বাবার বাড়ি।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম সারওয়ার সুত্রকে বলেন, ‘শিশু দু’টির মা-বাবা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনা হচ্ছে। এটা আটক নয়।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ‘ক্লু’ খুঁজে পায়নি পুলিশ। আজ বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত কোনো মামলাও হয়নি।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত ঘটনার কোনো ক্লু পাননি। শিশু দু’টির মৃত্যুর বিষয়ে তাদের পরিবার এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। তাই রহস্য উদ্ঘাটনে সম্ভাব্য কারণগুলো মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওসি রফিকুল বলেন, শিশু দু’টির পরিবার মামলা না করলে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করবে।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুই শিশুর মা-বাবাসহ কেউ সন্দেহের বাইরে নন।
২ শিশু নুসরাত আমান (১২) ও আলভী আমানের (৬) লাশ গতকাল রাতে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে দাফন করা হয়েছে। তাদের মা-বাবা আগেই সেখানে চলে যান। সন্তানদের মরদেহ মর্গে রেখে মা-বাবার গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় এবং মামলা না করায় এ ঘটনা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
বনশ্রীতে গত সোমবার রাতে ২ ভাইবোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্বজনেরা দাবি করেন, রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানান যে, প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন, শিশু দু’টিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নুসরাত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের (প্রধান শাখা) পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো এবং আলভী হলি ক্রিসেন্ট (ইন্টারন্যাশনাল) স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারিতে পড়তো।